অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম

 প্রকাশ: ০৬ অগাস্ট ২০২৫, ১২:৫৭ অপরাহ্ন   |   বীমা ও নিবন্ধন , টিপস ও গাইড

অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম

অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়ম – সম্পূর্ণ গাইড

আজকাল বাংলাদেশে গাড়ি কেনার আগেই একটা বিষয় অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে—গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ঠিক আছে কি না। আপনি যদি পুরনো গাড়ি কিনতে চান কিংবা কোথাও থেকে ভাড়া নিয়ে চালাতে চান, তাহলে প্রথমেই অনলাইনে যাচাই করে নেয়া উচিত গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন তথ্য। কারণ অনেক সময় দেখা যায়, গাড়ির ফিটনেস নেই, ট্যাক্স টোকেন আপডেট না, বা এমনকি রেজিস্ট্রেশনই ভুয়া! এই ছোট্ট ভুলে আপনি পড়তে পারেন আইনি জটিলতায়।

ভাগ্য ভালো যে এখন আর বিআরটিএ অফিসে লাইনে দাঁড়াতে হয় না। ঘরে বসেই স্মার্টফোন বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন তথ্য চেক করা যায় খুব সহজে। শুধু গাড়ির নাম্বার বা চেসিস নাম্বার হলেই চলবে। এই লেখায় আমরা ধাপে ধাপে দেখাবো কীভাবে রেজিস্ট্রেশন চেক করবেন এবং কীভাবে এই প্রক্রিয়া আপনাকে প্রতারণার হাত থেকে রক্ষা করবে। তাহলে চলুন, আসল তথ্য জানি আর বুঝে-শুনে গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নেই।

BRTA Online Registration - অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন চেক করার নিয়মাবলী

বাংলাদেশে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, ট্যাক্স টোকেন, মালিকানা পরিবর্তনসহ যাবতীয় দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (BRTA)। আগে এসব কাজ করতে হলে বিআরটিএ অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হতো। কিন্তু এখন BRTA অনলাইন সিস্টেম চালু করায় আপনি ঘরে বসেই খুব সহজে গাড়ির যাবতীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন। শুধু গাড়ির নাম্বার বা চেসিস নাম্বার জানলেই চলবে।

BRTA-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে (https://brta.gov.bd) গিয়ে অথবা services.bangladesh.gov.bd থেকে আপনি এই সেবা নিতে পারবেন। সাইটে গিয়ে ‘গাড়ির তথ্য যাচাই’ অপশনে ক্লিক করে নাম্বার ও ক্যাপচা ইনপুট দিয়ে সাবমিট করলেই দেখা যাবে আপনার কাঙ্ক্ষিত তথ্য – যেমন মালিকের নাম, ফিটনেস ভ্যালিডিটি, ট্যাক্স টোকেন, ইনস্যুরেন্স ইত্যাদি।

এছাড়া BRTA বর্তমানে স্মার্ট কার্ড চালু করেছে, যা আগের ম্যানুয়াল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটের তুলনায় অনেক বেশি নির্ভুল ও নিরাপদ। ফলে আপনি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই করতে পারেন আরও নিশ্চিতভাবে এবং নির্ভরযোগ্যভাবে।

কেন অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করা দরকার?

গাড়ি কেনা অনেক বড় একটি বিনিয়োগ। তাই এমন একটি সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক থেকে নিশ্চিত হওয়া খুবই জরুরি। আপনি যদি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই না করেন, তাহলে হয়তো এমন একটি গাড়ি কিনে ফেললেন যার উপর চুরি মামলা আছে বা যার মালিক আসলে আপনি নন। তখন পড়তে হতে পারে আইনি জটিলতায়, এমনকি গাড়ি হারানোর ঝুঁকিও থেকে যায়।

এছাড়া গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের সময়, বীমা নবায়ন করতে গেলে, কিংবা ট্রাফিক কেসে জড়িয়ে পড়লে সঠিক কাগজপত্র না থাকলে জরিমানা গুণতে হতে পারে বা মামলা পর্যন্ত গড়াতে পারে। তাই আগেই অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য দেখে নেওয়া সেরা উপায় – এতে আপনি যেমন স্বস্তিতে থাকবেন, তেমনি ভবিষ্যতের জটিলতা থেকেও রক্ষা পাবেন।

চুরি হওয়া গাড়ি শনাক্তকরণ

বাংলাদেশে গাড়ি চুরি নতুন কিছু নয়। অনেক সময় চোরেরা চুরি করা গাড়ির নম্বর প্লেট বদলে, জাল কাগজপত্র বানিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি করে দেয়। আপনি যদি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য অনলাইনে যাচাই করেন, তাহলে দেখতে পারবেন – গাড়ির আসল মালিক কে, কোথা থেকে রেজিস্টার করা হয়েছে, এমনকি ফিটনেস ও ট্যাক্স টোকেনের অবস্থা কী।

এই তথ্যগুলোই আপনাকে বুঝতে সাহায্য করবে গাড়িটি বৈধ কিনা। যদি নাম বা ঠিকানার মধ্যে গরমিল থাকে, তাহলে সতর্ক হয়ে যান। এই ছোট্ট যাচাই আপনার লাখ টাকার বিনিয়োগকে সুরক্ষিত রাখতে পারে।

পুরাতন গাড়ি কেনার আগে যাচাই

অনেকেই বাজেটের কারণে পুরাতন গাড়ি কিনে থাকেন, যা একেবারে স্বাভাবিক। তবে পুরাতন গাড়ি কেনার সময় যদি আপনি মালিকানা ও রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই না করেন, তাহলে অজান্তেই কোনো জটিল গাড়ি কিনে বসতে পারেন। দেখা যায়, কিছু গাড়ি এখনও আগের মালিকের নামে, আবার কিছু গাড়ির ট্যাক্স বা ফিটনেস বহুদিন যাবৎ হালনাগাদ নয়।

এসব ছোটখাটো ভুল ভবিষ্যতে বড় ধরনের বিপদ ডেকে আনতে পারে – যেমন মালিকানা হস্তান্তরে সমস্যা, জরিমানা, এমনকি গাড়ি বাজেয়াপ্ত হওয়া পর্যন্ত হতে পারে। তাই গাড়ি কেনার আগেই BRTA-এর অনলাইন সার্ভিস ব্যবহার করে যাচাই করে নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করার উপায় (স্টেপ বাই স্টেপ গাইড)

অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করা এখন সত্যিই খুব সহজ একটি প্রক্রিয়া। আপনি চাইলে বাসায় বসে মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করে নিজেই এই কাজটি করতে পারেন—কারও সাহায্য ছাড়াই। নিচে ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেওয়া হলো:

➊ প্রথম ধাপ: যেকোনো ব্রাউজারে গিয়ে ঢুকুন BRTA-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অথবা services.bangladesh.gov.bd সাইটে।
➋ দ্বিতীয় ধাপ: হোমপেজে গিয়ে “Vehicle Registration Verification” বা “গাড়ির তথ্য যাচাই” নামের অপশনটি খুঁজে বের করুন।
➌ তৃতীয় ধাপ: সেখানে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর অথবা চেসিস নম্বর টাইপ করে দিন।
➍ চতুর্থ ধাপ: ক্যাপচা সঠিকভাবে পূরণ করে "Submit" বাটনে ক্লিক করুন।
➎ পঞ্চম ধাপ: কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আপনি গাড়ির বিস্তারিত তথ্য—যেমন মালিকের নাম, ট্যাক্স, ফিটনেস, রেজিস্ট্রেশনের অবস্থা ইত্যাদি—স্ক্রিনে দেখতে পাবেন।

এই সহজ কিছু ধাপ অনুসরণ করলেই আপনি যাচাই করতে পারবেন আপনার বা অন্য কারও গাড়ির রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাস একদম ফ্রিতে ও নির্ভরযোগ্যভাবে।

গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য কী কী দেখা যায়?

অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন যাচাই করলে আপনি কেবল মালিকের নামই নন, আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবেন। যেমন – গাড়ির বর্তমান মালিকের নাম, গাড়িটি কবে রেজিস্ট্রার হয়েছে, তার মডেল, নির্মাণ সাল, রঙ, ইঞ্জিন নম্বর ও চেসিস নম্বর। এসব তথ্য দেখে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে গাড়িটি আসলেই যার কাছ থেকে কিনছেন, তার মালিকানাধীন কিনা।

এছাড়াও আপনি জানতে পারবেন, গাড়িটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নিবন্ধিত নাকি বাণিজ্যিক অথবা সরকারি কাজের জন্য। এমনকি গাড়িটি দেশের কোন জেলায় রেজিস্ট্রার হয়েছে তাও অনলাইনে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। এতে করে আপনি গাড়ির ইতিহাস সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা পেতে পারেন। বিশেষ করে পুরনো গাড়ি কেনার আগে এই তথ্যগুলো যাচাই করা খুবই দরকার, কারণ এতে গাড়ির বৈধতা ও বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যায়।

অনলাইন যাচাই সংক্রান্ত সতর্কতা

অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন যাচাই করা যতটা সহজ, কিছু ভুল করলে এর ফলাফল হতে পারে বিভ্রান্তিকর বা বিপজ্জনক। সবচেয়ে সাধারণ ভুল হলো—গাড়ির নাম্বার বা চেসিস নম্বর ভুলভাবে ইনপুট দেওয়া। এক অক্ষরের ভুলেই আপনি পেয়ে যেতে পারেন অন্য কারও গাড়ির তথ্য। ফলে ভুল সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। তাই তথ্য দেওয়ার আগে দুইবার মিলিয়ে দেখা জরুরি।

আরো একটি বড় সতর্কতার বিষয় হলো ভুয়া ওয়েবসাইট। অনেক সময় দেখা যায় কিছু প্রতারক গ্রুপ BRTA-এর নাম ব্যবহার করে নকল ওয়েবসাইট বানিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাই আপনি যেন অবশ্যই https://www.brta.gov.bd বা https://services.bangladesh.gov.bd এই অফিসিয়াল ওয়েবসাইটগুলো ব্যবহার করেন।

তাছাড়া গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের সময় অফিসিয়াল কাগজপত্রে বিআরটিএ’র সিল ও কর্মকর্তার স্বাক্ষর আছে কি না, তাও যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি—নইলে ভবিষ্যতে আইনি ঝামেলায় পড়তে হতে পারে।

অতিরিক্ত টিপস

গাড়ির তথ্য যাচাই করতে গিয়ে কিছু বাড়তি সতর্কতা রাখলে ভবিষ্যতের ঝামেলা অনেকটাই এড়ানো যায়। প্রথমত, গাড়ির কাগজপত্র সবসময় হাতে রাখুন—বিশেষ করে রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ট্যাক্স টোকেন ও ইনস্যুরেন্স পেপার। এগুলো অনলাইন যাচাইয়ের পাশাপাশি অফলাইনে প্রমাণ হিসেবে কাজ করে।

দ্বিতীয়ত, গাড়িতে কোনো ট্রাফিক মামলা বা জরিমানা আছে কি না তা জানাও খুব জরুরি। অনেক সময় গাড়ি কিনে নেওয়ার পরে দেখা যায়, আগের মালিকের নামে মামলা রয়েছে, যেটার ঝামেলা বর্তমান মালিককে পোহাতে হয়।

তৃতীয়ত, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন ও ফিটনেস সঠিকভাবে নবায়ন হয়েছে কি না, সেটাও নিশ্চিত হওয়া দরকার। BRTA-এর ওয়েবসাইটেই এগুলো চেক করা যায়। এসব বিষয় খেয়াল রাখলে গাড়ি কেনা বা মালিকানা বদলের সময় আপনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগোতে পারবেন।

চেসিস নাম্বার দিয়ে কিভাবে যাচাই করবেন?

আপনার কাছে যদি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার না থাকে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। গাড়ির চেসিস নাম্বার দিয়েও BRTA-এর অনলাইন প্ল্যাটফর্মে যাচাই করা যায়। ওয়েবসাইটে গিয়ে “চেসিস নাম্বার দিয়ে যাচাই” অপশন বেছে নিয়ে চেসিস নম্বর ইনপুট দিন এবং ক্যাপচা পূরণ করে সাবমিট করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মালিকের নাম, গাড়ির মডেল, রেজিস্ট্রেশন স্ট্যাটাসসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য স্ক্রিনে চলে আসবে। বিশেষ করে যদি গাড়ির নম্বর প্লেট নষ্ট হয়ে যায়, তখন চেসিসই হয় সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস।

গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের পর কি রেজিস্ট্রেশন চেক করতে হয়?

হ্যাঁ, অবশ্যই করতে হয়। গাড়ির মালিকানা পরিবর্তনের পর অনলাইনে গিয়ে চেক করে দেখা উচিত—নতুন মালিকের নামে তথ্য হালনাগাদ হয়েছে কি না। অনেক সময় বিআরটিএ অফিসে কাগজ জমা দেওয়া হলেও ডেটাবেজে আপডেট হতে সময় লাগে। আপনি যদি এই চেক না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে গাড়িটি আপনার নামে না থাকায় আইনগত সমস্যা হতে পারে—যেমন ট্রাফিক মামলা, জরিমানা বা ইনস্যুরেন্স ক্লেইমে জটিলতা। তাই গাড়ি কিনে মালিকানা পরিবর্তনের কাজ শেষ হওয়ার পরে অন্তত একবার BRTA-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই করে নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ ও বুদ্ধিমানের কাজ।

FAQs


১. গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক করতে কি ইন্টারনেট লাগবে?

হ্যাঁ, অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য দেখতে হলে ইন্টারনেট সংযোগ থাকা জরুরি। আপনি মোবাইল, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার দিয়ে www.brta.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে তথ্য দেখতে পারবেন।

২. SMS দিয়ে তথ্য বের করা কি নিরাপদ?

হ্যাঁ, আপনি যদি BRTA-এর নির্ধারিত অফিসিয়াল নম্বরে (যেমন 26969) নির্ভরযোগ্যভাবে SMS পাঠান, তাহলে এটি নিরাপদ এবং সরকারি তথ্যই পাবেন। কখনোই অচেনা বা সন্দেহজনক নম্বরে তথ্য পাঠাবেন না।

৩. কত টাকা খরচ হয় অনলাইনে যাচাই করতে?

BRTA-এর ওয়েবসাইটে গিয়ে তথ্য যাচাই করতে কোনো টাকা লাগে না, এটি সম্পূর্ণ ফ্রি। তবে যদি আপনি SMS ব্যবহার করেন, তাহলে মোবাইল অপারেটরের পক্ষ থেকে একটি নামমাত্র চার্জ কাটা হয় (প্রায় ২-৩ টাকা)।

৪. ভুয়া ওয়েবসাইট চিনবেন কীভাবে?

ভুয়া ওয়েবসাইট অনেক সময় BRTA-এর নাম ব্যবহার করে। আসল ওয়েবসাইটের লিঙ্ক হচ্ছে: **www.brta.gov.bd**। আপনি যদি কোনো অনানুষ্ঠানিক ডোমেইন বা .xyz, .net, .info টাইপ কিছু দেখেন, তাহলে সতর্ক হোন ও তথ্য শেয়ার করবেন না।

৫. বিদেশ থেকে কি এই তথ্য দেখা যাবে?

হ্যাঁ, বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই www.brta.gov.bd ওয়েবসাইটে ঢুকে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য দেখা যায়। প্রবাসে থাকলেও এই সুবিধা ব্যবহার করা যায় কোনো ঝামেলা ছাড়াই।

উপসংহার

বর্তমান সময়ে অনলাইনে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তথ্য যাচাই করা সত্যিই সহজ এবং সময় সাশ্রয়ী। বিশেষ করে গাড়ি কেনা, ভাড়া নেওয়া বা মালিকানা হস্তান্তরের সময় এই তথ্য জানা জরুরি।

এই গাইডে আমরা চেষ্টা করেছি সহজ ভাষায় আপনাকে পুরো প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করতে যাতে আপনি নিজেই বাড়িতে বসে কাজটি করে ফেলতে পারেন। যদি আপনি Google-এ "গাড়ির রেজিস্ট্রেশন চেক" বা "গাড়ির মালিকানা জানার উপায়" লিখে সার্চ করেন, তাহলে এই গাইডই হতে পারে আপনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সহায়ক।