পুরাতন গাড়ি কেনার জন্য টিপস | সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনার আগে জেনে নিন ৭টি টিপস

 প্রকাশ: ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:১৯ অপরাহ্ন   |   গাড়ির টিপস এবং কৌশল , টিপস ও গাইড

পুরাতন গাড়ি কেনার জন্য টিপস | সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনার আগে জেনে নিন ৭টি টিপস

পুরাতন গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন? নতুন গাড়ির তুলনায় সেকেন্ডহ্যান্ড বা রিকন্ডিশন গাড়ি কেনার মধ্যে যেমন সাশ্রয়ের সুবিধা রয়েছে, তেমনি কিছু সতর্কতা অবলম্বন করাও প্রয়োজন। গাড়ি কেনা শুধু একটি পরিবহনের মাধ্যম কেনা নয়; এটি এমন একটি সম্পদ, যা প্রতিদিনের জীবনে আপনার নির্ভরযোগ্য সঙ্গী হয়ে উঠবে। এটি শুধু গন্তব্যে পৌঁছানোর মাধ্যমই নয়, বরং একটি আরামদায়ক ও নিরাপদ ভ্রমণের অভিজ্ঞতা। সঠিকভাবে যাচাই না করলে সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনার সময় অপ্রত্যাশিত ঝামেলায় পড়ার ঝুঁকি থাকে, যা ভবিষ্যতে অতিরিক্ত ব্যয়ের কারণ হতে পারে।


এই কারণে পুরাতন গাড়ি কেনার সময় কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখা উচিত। গাড়ির মেকানিক্যাল অবস্থান, মাইলেজ, ড্রাইভ টেস্ট, সার্ভিস হিস্ট্রি, বৈধ কাগজপত্রসহ কিছু সাধারণ বিষয় নজরে রাখলে আপনি একটি ভালো মানের এবং সঠিক দাম অনুযায়ী গাড়ি বেছে নিতে পারবেন। "CarSell" এর মতো নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম আপনার গাড়ি কেনার সিদ্ধান্তকে সহজ করে দিতে পারে। আমাদের এই টিপস গাইডটি আপনাকে জানাবে পুরাতন গাড়ি কেনার ৭টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, যা মেনে চললে আপনি পেতে পারেন সেরা মানের একটি গাড়ি, এবং এটি হয়ে উঠতে পারে আপনার প্রতিদিনের ভ্রমণের নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।

১. গাড়ির মেকানিক্যাল অবস্থার দিকে নজর দিন



পুরাতন গাড়ি কেনার সময় এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক। গাড়ির বাইরের চেহারা বা রং যতই আকর্ষণীয় হোক না কেন, সেটি আসলে গাড়ির কার্যক্ষমতা বা স্থায়িত্বের কোনো নিশ্চয়তা দেয় না। বরং ইঞ্জিন, ট্রান্সমিশন, ব্রেক, ক্লাচ, এক্সেল এবং অন্যান্য মেকানিক্যাল পার্টসের অবস্থা যাচাই করাই হলো সবচেয়ে জরুরি।


একটি সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির ইঞ্জিন যদি অতিরিক্ত শব্দ করে, তবে তা ইঞ্জিনের অভ্যন্তরীণ কোনো সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। বিশেষ করে ইঞ্জিন স্টার্ট করার সময় কোনো অস্বাভাবিক শব্দ বা কম্পন অনুভূত হলে, এটি ভবিষ্যতে বড় ধরনের খরচের কারণ হতে পারে। একইভাবে, ব্রেক এবং গিয়ার পরিবর্তনের সময় যদি কোনো সমস্যা দেখা দেয়, তা হলে সেটি ব্যবহারে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। গাড়ির ক্লাচ, এক্সেল এবং শক অ্যাবজর্বারের অবস্থাও ভালোভাবে যাচাই করা প্রয়োজন, কারণ এসব যন্ত্রাংশের অবস্থার উপরই গাড়ির আরামদায়কতা নির্ভর করে।


গাড়ির এইসব মেকানিক্যাল অংশের সঠিক মূল্যায়ন করতে চাইলে একজন অভিজ্ঞ মেকানিক সঙ্গে নিয়ে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। একজন বিশেষজ্ঞের সহায়তায় গাড়ির অভ্যন্তরীণ যন্ত্রাংশ সম্পর্কে সঠিক ধারণা পাওয়া সম্ভব, যা ভবিষ্যতে অপ্রত্যাশিত মেরামত ব্যয় থেকে বাঁচাতে পারে।

২. ড্রাইভ টেস্ট করুন



ড্রাইভ টেস্ট হলো পুরাতন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি অপরিহার্য ধাপ। গাড়ি কেনার আগে সেটি রাস্তায় চালিয়ে দেখলে গাড়ির প্রকৃত কার্যক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।


ড্রাইভ টেস্টের সময় গাড়ির স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি, ব্রেকিং ক্ষমতা, এবং সাসপেনশন কেমন কাজ করে তা পরীক্ষা করা জরুরি। গাড়িটি স্টার্ট করতে কতটা সময় লাগে এবং স্টার্ট করার পর ইঞ্জিনে কোনো ঝাঁকুনি বা অতিরিক্ত শব্দ হয় কিনা তা খেয়াল করতে হবে। সাসপেনশনের মসৃণতা এবং ব্রেকিং সিস্টেমের কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে ব্রেক এবং ক্লাচ যথাযথভাবে কাজ করছে কিনা তা ভালোভাবে দেখতে হবে। গাড়ির গিয়ার পরিবর্তনের সময় যদি কোনো অস্বাভাবিক ঝাঁকুনি বা বাধা অনুভব করেন, তবে সেটি বড় ধরনের সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে।


ড্রাইভ টেস্টের সময় সম্ভব হলে বিভিন্ন রাস্তায়, যেমন—মসৃণ রাস্তা, উঁচু-নিচু এবং আঁকাবাঁকা রাস্তায় গাড়িটি চালিয়ে দেখুন। এতে করে গাড়িটি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কেমন পারফর্ম করে তা ভালোভাবে বোঝা যায়। ড্রাইভ টেস্টের সময় যদি কোনো রকম সমস্যা চোখে পড়ে তবে সেটি নোট করে রাখুন এবং প্রয়োজনে সেটি বিক্রেতার সাথে আলোচনা করে নিশ্চিত করুন।

৩. গাড়ির মাইলেজ যাচাই করুন



গাড়ির মাইলেজ বা মিটার রিডিং চেক করা হলো পুরাতন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে আরেকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। মাইলেজ হলো গাড়িটি কত দূরত্ব অতিক্রম করেছে তার পরিমাণ, যা গাড়ির ব্যবহার এবং কার্যক্ষমতা সম্পর্কে একটি মোটামুটি ধারণা দেয়।


সাধারণত বেশি মাইলেজ সম্পন্ন গাড়ি বেশি চালিত হয়েছে এবং স্বাভাবিকভাবেই তার বিভিন্ন অংশে ক্ষয় হতে পারে। যদিও মাইলেজ কম থাকা মানে এই নয় যে গাড়িটি সম্পূর্ণ কার্যক্ষম অবস্থায় আছে, তবে গাড়ির অবস্থা যাচাই করার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় নির্দেশক।


মাইলেজ ছাড়াও, গাড়িটির ব্যবহার ধরণও জানতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কোনো গাড়ি যদি নিয়মিত দীর্ঘ ভ্রমণে ব্যবহৃত হয়, তবে সেটি দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্যদিকে, শহরের ভিতর স্বল্প দূরত্বে ব্যবহৃত গাড়ির বিভিন্ন অংশের ওপর চাপ কম থাকে। সুতরাং, গাড়ির মাইলেজ এবং ব্যবহার সম্পর্কে বিক্রেতার থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত।

৪. সার্ভিস হিস্ট্রি চেক করুন



পুরাতন গাড়ি কেনার আগে গাড়ির সার্ভিস হিস্ট্রি দেখা অত্যন্ত জরুরি, কারণ এটি গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণের চিত্র তুলে ধরে। সার্ভিস হিস্ট্রি থেকে আপনি জানতে পারবেন, গাড়িটি কতবার সার্ভিসিং করা হয়েছে, কোন কোন যন্ত্রাংশ মেরামত বা পরিবর্তন করা হয়েছে এবং গাড়ির সামগ্রিক অবস্থার উপর কোন সমস্যা রয়েছে কিনা।


গাড়ির যন্ত্রাংশ বা ইঞ্জিনের ওপর বড় কোনো মেরামত করা হয়েছে কিনা তা জানতে পারবেন সার্ভিস হিস্ট্রি থেকে। এই তথ্যগুলো আপনাকে বুঝতে সহায়তা করবে, গাড়িটির স্থায়িত্ব কেমন হতে পারে এবং এর ভবিষ্যত মেরামতের সম্ভাব্য খরচ কেমন হবে। যদি গাড়িটির পূর্ববর্তী মালিক নিয়মিতভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে, তবে সেটি একটি ভালো ইঙ্গিত। তবে, যদি গাড়ির ইতিহাসে বড় ধরনের দুর্ঘটনার বা পুনঃস্থাপনের রেকর্ড থাকে, তবে সে গাড়ি কেনার বিষয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।


তাই বিক্রেতার কাছ থেকে গাড়ির সার্ভিস হিস্ট্রি চাওয়া একটি ভালো অভ্যাস। বেশিরভাগ সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি বিক্রেতা এই তথ্য প্রদান করে থাকেন। তবে যদি সার্ভিস হিস্ট্রি না পাওয়া যায়, তাহলে সেটি কিছুটা সন্দেহের কারণ হতে পারে। এছাড়া, পরিচিত ও বিশ্বস্ত বিক্রেতা বা প্ল্যাটফর্ম থেকে গাড়ি কিনলে সার্ভিস হিস্ট্রি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকে।

৫. গাড়ির বৈধ কাগজপত্র যাচাই করুন



গাড়ি কেনার সময় তার বৈধ কাগজপত্র যাচাই করা অত্যন্ত জরুরি, কারণ বৈধ কাগজপত্র ছাড়া গাড়িটি আপনার জন্য আইনি সমস্যার কারণ হতে পারে। মূলত, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, কর টোকেন, ইন্সুরেন্স কাগজপত্র, ফিটনেস সার্টিফিকেট এবং রুট পারমিট ইত্যাদি সকল কাগজপত্র সঠিক ও হালনাগাদ থাকতে হবে।


রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেটে গাড়ির মালিকানা সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য উল্লেখ থাকে। এছাড়াও, গাড়ির ইনস্যুরেন্স বৈধ কিনা তা পরীক্ষা করুন। ইনস্যুরেন্স নীতিমালা অনুযায়ী, সব গাড়ির জন্য ইন্সুরেন্স বাধ্যতামূলক এবং তা রাস্তায় চলাচলের জন্য অপরিহার্য। ফিটনেস সার্টিফিকেট দ্বারা গাড়ির চলাচল যোগ্যতা প্রমাণ করা হয় এবং এটি দেখতে হবে ফিটনেস টেস্টে কোন অসুবিধা রয়েছে কিনা।


এছাড়া, কর টোকেন বা ট্যাক্স পেমেন্ট আপডেট কিনা সেটি যাচাই করা জরুরি। পুরাতন গাড়ির জন্য সকল ট্যাক্স এবং অন্যান্য চার্জ মিটিয়ে রাখা হয়েছে কিনা সেটি নিশ্চিত হওয়া উচিত, কারণ পরে আপনাকেই এসব খরচের দায়িত্ব নিতে হতে পারে। কাগজপত্রের কোনো কিছুতে অসঙ্গতি থাকলে, বিক্রেতার সাথে আলোচনা করুন এবং প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যাচাই করে নিন।

৬. বাজেট অনুযায়ী সঠিক মূল্য নির্ধারণ করুন



সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনার সময় সঠিক মূল্য নির্ধারণ করাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। অনেক সময় বিক্রেতারা গাড়ির দাম বাজারমূল্যের চেয়ে বেশি চেয়ে থাকেন। এ ক্ষেত্রে, বাজারে একই মডেলের ও অবস্থার গাড়িগুলোর দাম সম্পর্কে ধারণা নিয়ে নেওয়া উচিত।


পুরাতন গাড়ির দামে অনেক সময় দরদাম করতে হয়, যা আপনি বিক্রেতার সাথে আলোচনা করে পেতে পারেন। গাড়ির ইঞ্জিন বা যন্ত্রাংশে কোনো সমস্যা থাকলে তার জন্য কিছু মেরামত খরচ হতে পারে। তাই আপনার সামগ্রিক বাজেটের মধ্যে এসব খরচ যোগ করে নিতে হবে। আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত একটি উপযুক্ত দাম নির্ধারণ করা, যাতে আপনি আপনার বাজেটের মধ্যে একটি ভালো গাড়ি কিনতে পারেন।


এছাড়া, বাজেট নির্ধারণের সময় গাড়ির ভবিষ্যতের রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়ের সম্ভাবনাও বিবেচনায় নিন। গাড়ির মডেল, ইঞ্জিনের ক্ষমতা এবং মেরামত খরচের উপর ভিত্তি করে বাজেট ঠিক করুন এবং প্রয়োজনে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে গাড়ির মূল্য যাচাই করে দেখুন। এটি আপনাকে সঠিক দাম নির্ধারণে সাহায্য করবে।

৭. বিশ্বস্ত বিক্রেতা এবং পরিচিত প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনা



পুরাতন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা সবসময়ই বুদ্ধিমানের কাজ। এটি গাড়ির মান, দাম এবং কাগজপত্রের সঠিকতার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দেয়। অনেক সময় অপ্রত্যাশিতভাবে অনির্ভরযোগ্য বিক্রেতারা গাড়ির অবস্থা এবং কাগজপত্রের সঠিকতা গোপন করে থাকে, যা পরবর্তীতে ক্রেতার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।


বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম, যেমন— "CarSell"-এর মতো প্রতিষ্ঠিত ও নির্ভরযোগ্য অনলাইন মার্কেটপ্লেস থেকে গাড়ি কিনলে, গাড়ির অবস্থা এবং কাগজপত্র সম্পর্কে স্বচ্ছতা থাকে। CarSell এর মতো প্ল্যাটফর্মে আপনার পছন্দের গাড়ির বিভিন্ন মডেলের সঠিক তথ্য, মূল্য এবং কন্ডিশন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হয়, যা আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হয়।


বিশ্বস্ত বিক্রেতা থেকে গাড়ি কেনার আরেকটি সুবিধা হলো, তারা গাড়ির সকল কাগজপত্র ঠিকঠাক রাখতে সাহায্য করে এবং প্রয়োজনে কোনো সমস্যা হলে তা দ্রুত সমাধান করতে উদ্যোগী হয়। এটি আপনার গাড়ি কেনার অভিজ্ঞতাকে করে তুলবে সহজ ও ঝামেলাহীন।

শেষ কথা

পুরাতন গাড়ি কেনা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, যেখানে আপনার নিরাপত্তা, আরাম এবং বিনিয়োগ—সবকিছুই নির্ভর করে সঠিক বাছাইয়ের ওপর। সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ি কেনার সময় মেকানিক্যাল অবস্থা যাচাই, ড্রাইভ টেস্ট, মাইলেজ, সার্ভিস হিস্ট্রি, বৈধ কাগজপত্র এবং সঠিক মূল্য নির্ধারণের পাশাপাশি একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম বা বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা—এ সবগুলোই একটি ভালো মানের গাড়ি কেনার জন্য অপরিহার্য।


CarSell এর মতো নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্মে এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে কেনাকাটা করলে আপনি পাবেন একটি ঝামেলাহীন এবং নিরাপদ অভিজ্ঞতা। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনাকাটা করলে আপনি নিশ্চিত থাকবেন গাড়ির মান, কাগজপত্রের সঠিকতা এবং মূল্যের বিষয়ে। তাই পুরাতন গাড়ি কেনার চিন্তাভাবনায় CarSell এর অভিজ্ঞতার সহায়তা নিন, যাতে আপনার বিনিয়োগ হয়ে ওঠে আরও নিরাপদ এবং ফলপ্রসূ।

FAQ


পুরাতন গাড়ি কেনার সময় কীভাবে বুঝব যে ইঞ্জিন ভালো অবস্থায় আছে?

ইঞ্জিন ভালো অবস্থায় আছে কিনা যাচাই করতে গাড়িটি স্টার্ট করুন এবং কোনো অস্বাভাবিক শব্দ বা ঝাঁকুনি হচ্ছে কিনা খেয়াল করুন। স্টার্টে সমস্যা থাকলে বা অতিরিক্ত শব্দ হলে ইঞ্জিনে সমস্যা থাকতে পারে। প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ মেকানিক নিয়ে গাড়ির ইঞ্জিন এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ পরীক্ষা করাতে পারেন।


গাড়ির সার্ভিস হিস্ট্রি কেন গুরুত্বপূর্ণ?

গাড়ির সার্ভিস হিস্ট্রি থেকে বোঝা যায়, গাড়িটি কতবার সার্ভিসিং হয়েছে এবং কোন কোন মেরামত করা হয়েছে। এটি গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ এবং ভবিষ্যতে মেরামতের সম্ভাব্য খরচ সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়। সার্ভিস হিস্ট্রি ভালোভাবে দেখে নিতে পারলে গাড়ির স্থায়িত্ব এবং কার্যক্ষমতা সম্পর্কে আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন।


পুরাতন গাড়ির ড্রাইভ টেস্ট করার সময় কী কী বিষয় খেয়াল রাখতে হবে?

ড্রাইভ টেস্টের সময় গাড়ির স্টিয়ারিং নিয়ন্ত্রণ, ব্রেক, সাসপেনশন এবং গিয়ার পরিবর্তনের মসৃণতা খেয়াল করুন। গাড়ি চলাকালে কোনো ধরনের কম্পন, ঝাঁকুনি, বা শব্দ শুনলে সেটি মেকানিক্যাল সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। বিভিন্ন ধরনের রাস্তা এবং অবস্থায় গাড়িটি পরীক্ষা করলে এটি সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা পাবেন।


সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির বৈধ কাগজপত্র কী কী থাকতে হবে?

সেকেন্ডহ্যান্ড গাড়ির জন্য রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, ফিটনেস সার্টিফিকেট, ইনস্যুরেন্স, এবং কর টোকেন হালনাগাদ থাকতে হবে। এগুলো গাড়ির মালিকানা ও বৈধতা প্রমাণ করে এবং আপনার ভবিষ্যৎ ব্যবহারকে আইনি ঝামেলা থেকে মুক্ত রাখে। কাগজপত্রের কোনো কিছুতে অসঙ্গতি থাকলে সেটি বিক্রেতার সাথে আলোচনা করে সমাধান করুন।


পুরাতন গাড়ি কেনার জন্য নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম কেন বেছে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ?

বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম থেকে কেনা হলে গাড়ির মান, মূল্য, এবং কাগজপত্রের সঠিকতার বিষয়ে নিশ্চয়তা থাকে। যেমন "CarSell" এর মতো নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম থেকে গাড়ি কিনলে আপনি পাবেন যাচাইকৃত গাড়ি এবং নির্ভরযোগ্য বিক্রেতা, যা আপনার কেনার অভিজ্ঞতাকে সহজ এবং ঝামেলাহীন করে তুলবে।