১০ লাখ টাকার নিচে সেরা ১০টি টয়োটা গাড়ি

গাড়ির জগতে টয়োটা ব্র্যান্ডটি সুরক্ষা, কার্যকারিতা, এবং টেকসইতার মাপকাঠিতে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছে। গাড়ি কেনার সিদ্ধান্ত নিতে গেলে গ্রাহকরা সাধারণত এমন একটি ব্র্যান্ড খোঁজেন, যা শুধু আধুনিক প্রযুক্তি আর স্টাইলই নয়, বরং দীর্ঘস্থায়ী পারফরম্যান্স এবং নিরাপত্তাও নিশ্চিত করে। এই দিক থেকে টয়োটা বিশ্বজুড়ে একটি নির্ভরযোগ্য ব্র্যান্ড হিসেবে সুপরিচিত। বিশেষ করে বাংলাদেশে, যেখানে রাস্তাঘাটের অবস্থা এবং ট্রাফিকের চাপ বেশ প্রকট, সেখানে টয়োটার মজবুত গাড়িগুলো চালকদের কাছে বেশ প্রশংসিত।
বাংলাদেশের বাজারে টয়োটা গাড়িগুলো নানা ধরনের মডেল এবং বৈশিষ্ট্য নিয়ে সহজলভ্য, যা বিভিন্ন বাজেট এবং প্রয়োজন অনুযায়ী গ্রাহকদের মনোযোগ আকর্ষণ করে। টয়োটা শুধু ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য নয়, ব্যবসায়িক বা পরিবহন খাতে ব্যবহার করার জন্যও আদর্শ। যেহেতু বেশিরভাগ গ্রাহক সীমিত বাজেটের মধ্যে একটি কার্যকরী এবং নির্ভরযোগ্য গাড়ি চান, তাই ১০ লাখ টাকার নিচে বেশ কিছু পুরাতন ও রিকন্ডিশন টয়োটা মডেল খুব জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
এই তালিকায় আমরা ১০ লাখ টাকার নিচে সেরা ১০টি টয়োটা গাড়ির বিবরণ এবং তাদের বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছি। প্রতিটি মডেলই আলাদা বৈশিষ্ট্যের অধিকারী, যেমন মাইলেজ, আরামদায়ক যাত্রা, এবং সহজ রক্ষণাবেক্ষণ। যারা বাজেটবান্ধব একটি টয়োটা গাড়ি কেনার পরিকল্পনা করছেন, তাদের জন্য এই তালিকাটি একটি দিকনির্দেশক হতে পারে, যা তাদের চাহিদা এবং বাজেটের মধ্যে উপযুক্ত গাড়ি বেছে নিতে সহায়ক হবে।
১. Toyota Corolla X
টয়োটা করোলা X হলো এমন একটি গাড়ি যা দীর্ঘদিন ধরে সারা বিশ্বে নির্ভরযোগ্যতার জন্য প্রশংসিত হয়ে আসছে। বিশেষ করে যারা মাঝারি দামে সেডান গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার পছন্দ। এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর ১৫০০ সিসি ইঞ্জিন, যা মসৃণ এবং নির্ভরযোগ্য পারফরম্যান্স প্রদান করে। কম জ্বালানি খরচের জন্য এই মডেলটি বহুল ব্যবহৃত, যা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় আরামদায়ক যাত্রা নিশ্চিত করে।
এই মডেলটির অভ্যন্তরীণ আরামদায়ক পরিবেশের জন্য এটি ব্যাপক জনপ্রিয়। সিটের প্রশস্ততা এবং ভেতরের ডিজাইন যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্যের অনুভূতি প্রদান করে। করোলা X-এর মেইন্টেনেন্স সহজ ও সাশ্রয়ী, যা অনেকের বাজেটের মধ্যে পড়ে। এটি এমন একটি মডেল যা বিভিন্ন বয়সের চালকদের জন্য উপযুক্ত এবং পার্টস সহজলভ্য হওয়ায় যে কোনো সমস্যায় মেরামত দ্রুত করা যায়। বাংলাদেশের বাজারে পুরানো মডেলগুলোর দাম সহনশীল এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ১০ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়।
২. Toyota Premio
টয়োটা প্রিমিও এমন এক ধরনের সেডান যা আরাম এবং প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতার জন্য অনন্য। প্রিমিওর ১৮০০ সিসি ইঞ্জিন শক্তিশালী হলেও এর মাইলেজ বেশ ভালো, যা এটি শহরের পাশাপাশি দূরপাল্লার যাত্রার জন্যও আদর্শ করে তুলেছে। মডেলটির অভ্যন্তরীণ আরামদায়ক ডিজাইন, ভেতরের সিটের কুশনিং এবং প্রশস্ত লেগস্পেস যাত্রীদের বিশেষভাবে আরামদায়ক যাত্রার অভিজ্ঞতা দেয়। এটি বিশেষ করে পারিবারিক যাত্রার জন্য আদর্শ।
প্রিমিওর স্থায়িত্ব এবং মজবুত নির্মাণ এটি দীর্ঘদিন ব্যবহার উপযোগী করে তোলে। এছাড়া, এর উচ্চমানের সেফটি ফিচার যেমন এয়ারব্যাগ, ব্রেক অ্যাসিস্ট ইত্যাদি নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক। প্রিমিও মডেলটি বাংলাদেশের বাজারে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় মডেল, যা বিভিন্ন রিকন্ডিশন বা পুরাতন অবস্থায় ভালো দামে পাওয়া যায়। যারা একটু প্রিমিয়াম ফিল খোঁজেন, তাদের জন্য এটি দারুণ পছন্দ হতে পারে।
৩. Toyota Allion
টয়োটা অলিওন প্রিমিওর মতোই একটি প্রিমিয়াম সেডান মডেল, তবে এটি তুলনামূলকভাবে একটু কম দামি এবং ব্যবহারে বেশ আরামদায়ক। অলিওনের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর জ্বালানি সাশ্রয়ী ইঞ্জিন এবং স্টাইলিশ ডিজাইন। এর মাইলেজ শহরের ট্রাফিকেও ভালো পাওয়া যায়, যা চালকদের মধ্যে বিশেষভাবে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এই মডেলটির আকার ও গঠন একটু কমপ্যাক্ট হলেও এর অভ্যন্তরীণ স্থান বেশ প্রশস্ত এবং আরামদায়ক।
এটি উচ্চমানের সেফটি ফিচারের পাশাপাশি সহজ পার্টস পাওয়া যায় বলে কম সময়ে মেইন্টেনেন্স করা সম্ভব। অলিওন মডেলটি বেশ মজবুত এবং লম্বা সময় ধরে চালানোর জন্য আদর্শ, যা বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় ব্যবহৃত হয়। যারা নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী প্রিমিয়াম সেডান খুঁজছেন, অলিওন তাদের জন্য একটি দারুণ অপশন।
৪. Toyota Axio
টয়োটা এক্সিও এমন একটি কমপ্যাক্ট সেডান যা মাইলেজ, আরাম, এবং নির্ভরযোগ্যতার কারণে বাজারে খুব জনপ্রিয়। এর ১৫০০ সিসি হাইব্রিড ইঞ্জিন জ্বালানী সাশ্রয়ী এবং এতে স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ যাত্রা করা যায়। বিশেষ করে শহরের ভেতরে ব্যবহারের জন্য এটি উপযুক্ত, কারণ এর ছোট এবং চটপটে ডিজাইন যেকোনো ধরনের রাস্তায় চালানো সহজ করে তোলে। হাইব্রিড প্রযুক্তির কারণে এর ফুয়েল কনজাম্পশন কম, যা যাত্রীদের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকেও বেশ লাভজনক।
এক্সিওর অভ্যন্তরীণ ডিজাইন ব্যবহারকারীদের আরামদায়ক অনুভূতি প্রদান করে এবং এতে পর্যাপ্ত লেগস্পেস এবং হেডস্পেস রয়েছে। এটি বিভিন্ন আধুনিক সেফটি ফিচার যেমন এয়ারব্যাগ, অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS) ইত্যাদিতে সজ্জিত। এছাড়া, গাড়ির ড্যাশবোর্ড এবং অন্যান্য কনট্রোল সহজেই অ্যাক্সেসযোগ্য, যা যেকোনো চালকের জন্য আরামদায়ক ব্যবহার নিশ্চিত করে। বাংলাদেশের মার্কেটে এক্সিওর হাইব্রিড ভেরিয়েন্টগুলোর দাম সাধ্যের মধ্যে, বিশেষ করে রিকন্ডিশন অবস্থায় এটি ১০ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া সম্ভব। সাশ্রয়ী গাড়ি হিসেবে এক্সিও শহরের ব্যস্ত ট্রাফিকেও জনপ্রিয়।
৫. Toyota Aqua
টয়োটা আকুয়া একটি কমপ্যাক্ট এবং সাশ্রয়ী হাইব্রিড গাড়ি, যা বিশেষ করে শহুরে চালকদের জন্য আদর্শ। আকুয়ার অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এর ১৫০০ সিসি হাইব্রিড ইঞ্জিন, যা অত্যন্ত জ্বালানি সাশ্রয়ী। দৈনিক ব্যবহারের জন্য এই গাড়িটি খুবই উপযোগী, কারণ এর ফুয়েল ইকোনমি অসাধারণ। যারা বাজেটের মধ্যে একটি ফুয়েল সেভিং গাড়ি চান, তাদের জন্য আকুয়া অনেক ভালো অপশন।
গাড়িটির কমপ্যাক্ট ডিজাইন এবং এর চটপটে প্রকৃতি শহরের ট্রাফিক এবং পার্কিংয়ে অনেক সুবিধা প্রদান করে। আকুয়ার অভ্যন্তরীণ ডিজাইনটি আরামদায়ক এবং ব্যবহারকারী-বান্ধব। এতে রয়েছে আধুনিক ফিচার যেমন এয়ারব্যাগ, রিভার্স ক্যামেরা এবং স্মার্ট ড্যাশবোর্ড যা গাড়ি চালানোর অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করে। হাইব্রিড প্রযুক্তির কারণে এটি কম কার্বন নিঃসরণ করে, যা পরিবেশবান্ধব ব্যবহারের জন্যও উপযোগী। যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য গাড়িটিতে প্রয়োজনীয় সব সেফটি ফিচার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আকুয়া পুরনো বা রিকন্ডিশন মডেলে সাধারণত ১০ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা বাজেটবান্ধব ক্রেতাদের জন্য উপযুক্ত।
৬. Toyota Vitz
টয়োটা ভিটজ হলো একটি ছোট এবং চটপটে কমপ্যাক্ট গাড়ি, যা শহুরে চালকদের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এর ছোট আকার এবং ১০০০ থেকে ১৫০০ সিসি ইঞ্জিনের জন্য এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী এবং পার্কিংয়ে সুবিধাজনক। যারা ছোট পরিবার বা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য একটি সহজে চালানোর মতো গাড়ি খুঁজছেন, তাদের জন্য ভিটজ একটি আদর্শ পছন্দ। এটির মাইলেজ খুবই ভালো এবং এটি ছোট থেকে মাঝারি দূরত্বের যাত্রার জন্য সাশ্রয়ী।
ভিটজের ইন্টেরিয়র অত্যন্ত আরামদায়ক এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য। এর ড্যাশবোর্ড, সিট অ্যাডজাস্টমেন্ট এবং কন্ট্রোল প্যানেল সবই চালকের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ডিজাইন করা হয়েছে। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত স্টোরেজ স্পেস যা দৈনন্দিন জীবনের জন্য যথেষ্ট। সুরক্ষার দিক থেকে এটি এয়ারব্যাগ, ABS এবং স্টেবিলিটি কন্ট্রোল ফিচারসমৃদ্ধ, যা যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সহজ মেইন্টেনেন্স এবং সাশ্রয়ী পার্টস ভিটজকে আরও জনপ্রিয় করে তুলেছে। পুরনো বা রিকন্ডিশন মডেলগুলো বাংলাদেশের বাজারে ১০ লাখ টাকার মধ্যে সহজেই পাওয়া যায়, যা এটি আরও সাশ্রয়ী করে তোলে।
৭. Toyota Noah
টয়োটা নোয়া হলো একটি মাল্টিপারপাস ভেহিকল (MPV) যা পারিবারিক এবং বাণিজ্যিক দুই ধরনের ব্যবহারের জন্যই উপযুক্ত। নোয়া মূলত বড় পরিবার বা যেসব ব্যবহারকারীকে একসাথে অনেক যাত্রী নিয়ে ভ্রমণ করতে হয় তাদের জন্য উপযোগী। এটির ২০০০ সিসি ইঞ্জিন শক্তিশালী এবং দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রার জন্য বেশ কার্যকর। বড় সাইজের জন্য এটি ভেতরে প্রশস্ত বসার ব্যবস্থা এবং লেগস্পেস প্রদান করে, যা বড় পরিবার বা দলগত যাত্রার জন্য বিশেষ আরামদায়ক।
নোয়ার অভ্যন্তরীণ সাজসজ্জা অত্যন্ত আরামদায়ক এবং উচ্চমানের মেটেরিয়াল দিয়ে নির্মিত, যা যাত্রীদের জন্য আরামের অনুভূতি বাড়িয়ে তোলে। গাড়িটির দরজা স্লাইডিং হওয়ায় প্রবেশ ও বের হওয়া সহজ, বিশেষ করে যাত্রীবহুল অবস্থায় এটি আরও সুবিধাজনক। এছাড়াও, এতে রয়েছে বেশ কিছু আধুনিক প্রযুক্তি এবং সেফটি ফিচার যেমন এয়ারব্যাগ, ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন (EBD), এবং ব্রেক অ্যাসিস্ট, যা যাত্রাকে নিরাপদ করে তোলে। এর পাশাপাশি, গাড়ির ট্রাঙ্ক স্পেসও খুব বড়, যা বাড়তি লাগেজ বহনের জন্য সুবিধাজনক।
টয়োটা নোয়ার রিকন্ডিশন মডেলগুলো সাধারণত বাংলাদেশের বাজারে ১০ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়। এর বহুমুখী ব্যবহারের সুবিধা এবং শক্তিশালী পারফরম্যান্সের জন্য এটি বহু গ্রাহকের কাছে পছন্দের গাড়ি হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে।
৮. Toyota Passo
টয়োটা পাসো একটি ছোট এবং কমপ্যাক্ট সিটি কার, যা মূলত শহরের ভেতরে যাতায়াতের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ১০০০ সিসি এবং ১৩০০ সিসি ইঞ্জিনে পাওয়া যায় এবং বিশেষ করে যারা একটি সাশ্রয়ী কিন্তু আরামদায়ক ছোট গাড়ি চান তাদের জন্য পাসো অন্যতম সেরা পছন্দ। গাড়িটি তার সহজ ডিজাইন এবং নির্ভরযোগ্যতার জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। শহরের ব্যস্ত রাস্তায় বা কম জায়গার পার্কিংয়ে এটি খুবই সহজে চালানো যায়।
পাসো’র অভ্যন্তরীণ ডিজাইন এবং আসনগুলো খুবই আরামদায়ক। গাড়ির ছোট সাইজ সত্ত্বেও এতে যাত্রীদের জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকে এবং এর ড্যাশবোর্ড ও কন্ট্রোল সিস্টেমও সহজেই ব্যবহারযোগ্য। এই মডেলের আরেকটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো এর উচ্চমানের ফুয়েল ইকোনমি, যা নিয়মিত চালকদের জন্য অর্থনৈতিক দিক থেকে সহায়ক। এছাড়া, এতে এয়ারব্যাগ, এন্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS) এবং চাইল্ড সেফটি লক ইত্যাদি সেফটি ফিচার রয়েছে যা যাত্রাকে আরও নিরাপদ করে তোলে। পুরনো বা রিকন্ডিশন পাসো মডেল সাধারণত ১০ লাখ টাকার মধ্যে পাওয়া যায়, যা এটি বাজেটবান্ধব গাড়ি হিসেবে বাজারে জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছে।
৯. Toyota Harrier
টয়োটা হ্যারিয়ার একটি স্টাইলিশ এবং শক্তিশালী এসইউভি মডেল, যা মূলত প্রিমিয়াম অভিজ্ঞতা প্রদান করে। হ্যারিয়ার এর চমৎকার ডিজাইন এবং বিলাসবহুল অভ্যন্তরীণ পরিবেশের জন্য পরিচিত। এর শক্তিশালী ২০০০ সিসি থেকে ২৫০০ সিসি ইঞ্জিন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স প্রদান করে, যা অফ-রোড চালনা এবং লং ড্রাইভের জন্য আদর্শ। এছাড়াও, গাড়িটি এর গ্রাউন্ড ক্লিয়ারেন্স এবং স্থিতিশীলতা শহরের পাশাপাশি দূরবর্তী এলাকায় সহজে চালানোর সুযোগ দেয়।
হ্যারিয়ারের ইন্টেরিয়র প্রিমিয়াম লুক এবং আরামদায়ক ফিচার নিয়ে গঠিত, যা যাত্রীদের জন্য আরাম ও আরাধনার অনুভূতি প্রদান করে। আসনগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের ম্যাটেরিয়াল যা দীর্ঘ সময় ধরে আরাম প্রদান করে এবং এর কন্ট্রোল সিস্টেম এবং ড্যাশবোর্ড প্রযুক্তি সম্পন্ন। হ্যারিয়ার আধুনিক প্রযুক্তি এবং সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য যেমন ট্র্যাকশন কন্ট্রোল, এয়ারব্যাগ, ইলেকট্রনিক ব্রেকফোর্স ডিস্ট্রিবিউশন (EBD) এবং ব্রেক অ্যাসিস্টের মতো সেফটি ফিচার রয়েছে।
বাজারে পুরাতন বা রিকন্ডিশন হ্যারিয়ার মডেলগুলো সাধ্যের মধ্যে ১০ লাখ টাকার নিচে পাওয়া যায়, যা এটিকে আরো সাশ্রয়ী করে তুলেছে। যারা প্রিমিয়াম এসইউভি খুঁজছেন, তাদের জন্য এটি একটি চমৎকার অপশন।
১০. Toyota Probox
টয়োটা প্রোবক্স একটি অত্যন্ত কার্যকরী এবং বহুমুখী স্টেশনারি ওয়াগন, যা ব্যক্তি এবং ব্যবসায়িক উভয় ব্যবহারের জন্য জনপ্রিয়। প্রোবক্স মূলত তার বড় ট্রাঙ্ক স্পেস এবং সাশ্রয়ী মেইন্টেনেন্সের জন্য বিখ্যাত। এটি ১৪০০ থেকে ১৫০০ সিসি ইঞ্জিনে পাওয়া যায়, যা শহরের ভেতরে এবং দূরপাল্লার যাত্রার জন্য ভালো পারফরম্যান্স দেয়। ব্যবসায়িক কাজের জন্য, যেমন মালামাল পরিবহন বা ডেলিভারি কাজে, প্রোবক্স একটি আদর্শ গাড়ি। এটি দীর্ঘস্থায়ী এবং মজবুত নির্মাণের কারণে বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য টেকসই।
গাড়িটির অভ্যন্তরীণ নকশা সহজ এবং কার্যকরী, যেখানে সামনের অংশে পর্যাপ্ত স্টোরেজ স্পেস রয়েছে এবং পেছনের ট্রাঙ্কে অতিরিক্ত মালামাল রাখার জন্য যথেষ্ট জায়গা থাকে। এই মডেলের আসনগুলি সহজে ভাঁজ করে জায়গা বাড়ানো যায়, যা যাত্রী বহন অথবা মালামাল পরিবহনের জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। গাড়িটির সহজলভ্য পার্টস এবং সাশ্রয়ী মেইন্টেনেন্স ব্যয় এটিকে আরো জনপ্রিয় করেছে। প্রোবক্স বিভিন্ন সুরক্ষা বৈশিষ্ট্য যেমন এয়ারব্যাগ এবং অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম (ABS)-এ সজ্জিত, যা যাত্রীদের জন্য নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করে।
পুরনো বা রিকন্ডিশন প্রোবক্স মডেলগুলোর দাম সাধারণত ১০ লাখ টাকার মধ্যে পড়ে। এটি একটি অত্যন্ত সাশ্রয়ী এবং নির্ভরযোগ্য গাড়ি হিসেবে বাজারে ব্যাপক চাহিদা অর্জন করেছে, যা ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক উভয় কাজের জন্যই আদর্শ।
সব শেষ কথা
এই তালিকাভুক্ত গাড়িগুলি বাজেটের মধ্যে পাওয়া যাবে এবং প্রতিটি গাড়ির বিশেষত্ব ও কার্যকারিতা একে অপরের থেকে আলাদা। CarSell-এ এই গাড়িগুলি সহজেই খুঁজে পাওয়া যাবে এবং আপনার পছন্দের গাড়িটি খুঁজে পেতে CarSell-এ আমাদের অভিজ্ঞ টিমের পরামর্শ ও সহায়তাও পাওয়া যাবে।
CarSell হলো নতুন, পুরাতন এবং রিকন্ডিশন গাড়ি কেনা-বেচার একটি প্ল্যাটফর্ম। CarSell শুধুমাত্র গাড়ি কেনাবেচার জন্য নয়, বরং বিভিন্ন গাড়ি সম্পর্কে তথ্য ও বাজার বিশ্লেষণ সম্পর্কেও সহযোগিতা প্রদান করে থাকে।